মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পূর্বাহ্ন
মীরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি, কালের খবর :
মীরসরাই উপজেলার ৬নং ইছাখালী ইউনিয়নের টেকেরহাট সড়কের দূর অবস্থা গত কয়েকবছর ধরেই। প্রতি বছরই জনপ্রতিনিধি বা দায়িত্বশীলগন বলে থাকেন শীঘ্রই রাস্তাটির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হবে। এমনকি পানিউন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল হতে শুরু করে মন্ত্রী এমপি সকলেই। প্রাপ্ত তথ্যে আরো জানা গেলে মীরসরাইয়ের অভিবাবক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও এই বিষয়ে জোর তদবির করতে গিয়ে থমকে আছেন আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতার কবলে। বর্তমানে অন্তঃত ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার জুড়ে প্রতি কদমে কদমে গর্ত। কোথায়ও আবার ছোটখাটো ডোবায় পরিণত হয়েছে। নিয়মিত আটকে পড়ছে মালবাহী গাড়ী গুলো। ঘন্টার পর ঘন্টা বিকল হয়ে পড়ে থাকে যানবাহন। সড়কটি নিয়ে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় লোকজনদের করুন দূর অবস্থা। সব মিলিয়ে চরম ভোগান্তী আর বেহাল দশা এবং মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে টেকের হাটের এ সড়কটি।
স্থানীয়রা জানায়, এক সময় উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের প্রধান সড়ক ছিল। বাস থেকে শুরু করে সকল যানবাগহন নিয়মিত চলাচল করতো। এছাড়াও টেকের হাট হয়ে প্রজেক্ট রোড দিয়ে বারইয়ারহাট পৌরসভা পর্যন্ত দূর পাল্লার যাত্রীবাহী বাস এর নিয়মিত যাতায়াত ছিল । ফলে এ রাস্তায় ছিল দৈনিক হাজার হাজার মানুষের চলাচল। বর্তমানে সড়কটি দিয়ে একটা মোটর সাইকেল যাওয়ার ও অবস্থা নেই। এই পথে না গিয়ে কয়েক ঘন্টার গ্রামের পথ দিয়েই ৫-৭ কিলোমিটার ঘুরেই চলাচল করছে লোকজনকে।
এই বিষয়ে ইছাখালী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা জানান, এটি শুধু ইছাখালীর যন্ত্রনা নয় পুরো মীরসরাই বাসীর যন্ত্রনা এখন। কয়েক বছর আগে ২৮ কোটি টাকা বাজেট হয়েছিল এবং সেটি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এরপর এল জি ডি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করার উদ্যোগ নিয়েও করেনি। আমি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ও অনেকবার চেষ্টা করেছেন। তিনিও আশ্বাস প্রদান করছেন। তবে খুব শীর্ঘ্রই দূর্ভোগ লাগব হবে। আগামী জানুয়ারী মাস থেকে টেন্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই বিষয়ে পাউবোর স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ফজলুল হক জানান এই রাস্তাটি পাউবো ফেনী বিভাগের অধিনে। তবে যতদূর জেনেছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।
স্থানীয় ইউ পি সদস্য এমদাদ হোসেন বলেন প্রতি বছর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আমরা ৭-৮ বার ইট বালি দিয়ে কোন রকম সংস্কারের চেষ্টা করেছি, যা খুবই সামান্য। মাছের বড় ট্রাক চলাচলের কারণে সেটি ৩-৪ দিনের বেশি আর টেকেনা।